মধ্যরাতে ফেরার উপায় না দেখে কাঁদলেন নারী কর্মচারী

সারাবিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদের আনন্দে মেতে উঠতে তাই চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ফলে পুরো দেশ পরিণত হয়েছে ঈদ বাজারে।

ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমল সর্বত্র মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে হরদম বেচাকেনা। ফলে দোকান-শপিংমলের কর্মচারীদেরও অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।

কিন্তু কাজ শেষে রাতে বাসায় ফেরার সুব্যবস্থা করছেন না মালিকপক্ষ। ফলে মধ্যরাতে বাসায় ফিরতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে নারী কর্মচারীদের।

রাজধানীর বিভিন্ন দোকান-শপিংমলে কর্মরত নারী কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, কাজ শেষে রাতে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কোনো ধরনের ব্যবস্থাই রাখে না মালিকপক্ষ।

নারী কর্মচারীরা জানান, ঈদের বেচা-কেনার চাপ থাকায় তাদের মাঝেমধ্যে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু যাওয়া-আসা পুরো দায়িত্ব তাদেরই করতে হয়। এ জন্য মালিক আলাদা টাকা-পয়সা কিংবা যানবাহনের ব্যবস্থা করেন না। এমনকি রাত যতই হোক না কেন, তাদের বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য সঙ্গে কেউ থাকে না।

মধ্যরাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসংলগ্ন বসুন্ধরা সিটি থেকে বাসায় ফেরার সময় বাটার শো রুমের এক নারী কর্মী ‘বিপদে’পড়েন। বিষয়টি তুলে ধরে গত ৪ জুন পারমিতা হিম নামের এক সংবাদকর্মী লিখেন, গত বুধবার রাত দুইটায় এক মেয়েকে রাস্তায় দাঁড়ায়ে কাঁদতে দেখি বসুন্ধরার (কারওয়ান বাজারের বসুন্ধরা সিটি) সামনে। গভীর রাতে চাকরি শেষে (বাটা জুতার শোরুম থেকে) বাসায় ফেরার কোনো উপায় না দেখে রাস্তায় দাঁড়ায়ে হাউমাউ করে কানতেছিল সে।